সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক: লেবাননের রাজধানী বৈরুতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দখলে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। গত মঙ্গলবার বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে শনিবারও দেশটিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিন পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে তাদের। বৈরুতের শহীদ চত্বর এলাকায় গুলির ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া, কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী লেবাননের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের কার্যালয়ে প্রবেশ করে সেটি দখলে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্যাপক দুর্নীতি বন্ধ এবং রাজনীতিতে সংস্কার চেয়ে কিছুদিন ধরেই লেবাননে বিক্ষোভ চলছিল। বৈরুতের ভয়াবহ বিস্ফোরণ সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। সরকারের গাফিলতির কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে দাবি করে গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজপথে বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার লেবাননে বিক্ষোভে অংশ নেন অন্তত পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ। এদিন বিস্ফোরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বৈরুত বন্দরের শহীদ চত্বর থেকে বিশাল মিছিল বের করা হয়।
তবে দিনের শুরুতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশও টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে তার জবাব দেয়।
এদিন বিক্ষোভের মধ্যে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে একটি দল লেবানিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করে। এসময় তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মন্ত্রণালয় দখলের ঘোষণা দেয়।
এক বিক্ষোভকারী বিবিসি’কে জানান, প্রায় একশ’ লোক তাদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ভবনে প্রবেশ করেছে। তারা ভবনে প্রবেশপথের দখল নিয়েছে।
রেডক্রসের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এদিন বিক্ষোভের সময় অন্তত ১১০ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শহীদ চত্বরে গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে কারা গুলি চালিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। টেলিভিশনের এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘আগাম সংসদীয় নির্বাচন ছাড়া আমরা দেশের কাঠামোগত সংকট থেকে বের হতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে আগামী সোমবার মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে।’
সূত্র: বিবিসি